বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব রেদোয়ান আহমেদ নিজ উদ্দোগ্যে তার সহধর্মিণী মিসেস মমতাজ আহমেদের আর্থিক সহযোগীতায় ১৯৮০ সালে চান্দিনা উপজেলা সদরে কলেজটি স্থাপন করেন।
তৎসময়ে চান্দিনা উপজেলায় উচ্চ শিক্ষার তেমন কোন সু-ব্যবস্থা ছিল না। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চান্দিনার নিরক্ষর মানুষের শিক্ষার কথা চিন্তা করে তাদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্য ১৯৮০ সালে তিনি ও তার স্ত্রীর আর্থিক সহযোগীতায় ৫.৪২১একর জায়গা খরিদ করে প্রথম কলেজটি স্থাপন করেন। তখন কলেজ টিতে শুধুমাত্র একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া হতো। রেদোয়ান আহমেদ যখন কলেজটি স্থাপন করেন তখন তিনি স্বপ্ন দেখছিলেন কলেজটি একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপ নেবে। যা বর্তমানে প্রায় পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে রয়েছে। কলেজটি ১৯৯২-৯৩ সেশনে ডিগ্রী কলেজে পরিনত হয়। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ৩টি বিষয়ে অনার্স, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ৩টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়।বর্তমানে কলেজটি তে ১২টি বিষয়ে অনার্স ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছ। বর্তমানে কলেজটি ৬.৪২ একর জায়গার ওপর অবস্থিত।কলেজটি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। ছাত্র /ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য দ্বীতল ও ত্রীতল ভবনের বড় বড় ৫টি একাডেমিক ভবণ রয়েছে।খেলাধুলার জন্য রয়েছে একটি বিশাল মাঠ। একটি শহীদ মিনার,একটি মসজিদ রয়েছে। ছাত্র /ছাত্রীদের তথ্যপ্রয়ুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য রয়েছে একটি কম্পিউটার ল্যাব। ছাত্র /ছাত্রীদের জন্য রয়েছে দুটি হোস্টেল। একটি ছাত্রদের আরেকটি ছাত্রীদের।[
ছাত্র /ছাত্রীদের পাঠদান করানোর জন্য রয়েছে ১০০জন দক্ষ শিক্ষক /শিক্ষিকা। ছাত্র /ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকদের রয়েছে গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক। যার জন্য লেখাপড়ার মানও ভাল। কর্মচারী রয়েছে ৩০ জন।
কলেজটিতে বর্তমানে ছাত্র /ছাত্রীর সংখ্যা ৪২১৬জন।
প্রতি বছরের পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। প্রায় বছরই উক্ত কলেজের ছাত্র /ছাত্রীরা মেধাতালিকায় স্থান লাভ করে।